হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমবোমাংখিল গ্রামের কিশোর শহিদুল ইসলাম (১৫) গত এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সে ওই গ্রামের আহমদুর রহমানের ছেলে এবং গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএইচএম মনিরুল ইসলাম বলেন, বিগত ১জুলাই থেকে শহিদুল ক্লাসে অনুপস্থিত। অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায়ও অংশ নেয়নি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। এদিকে নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে গিয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
শহিদুল ইসলামের বড় ভাই কবির আহমদ বলেন, ভাই কোথায় আছেন সেটা তাঁরা জানেনা। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে রামু থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, গত এক মাস আগে পশ্চিমবোমাংখিল গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী জমিলা আক্তার (চার সন্তানের জননী) কিশোর শহিদুল ইসলামকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন। সেই থেকে তারা নিখোঁজ। জমিলা আক্তারের পিতার বাড়িও একই গ্রামে। তবে তারা বিয়ের পর থেকে গার্মেন্টেস সেক্টরে কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রাম শহরে থাকতো। গত ঈদুল ফিতরের পর জামাতা মেহেদীর সঙ্গে গ্রামে
আসে জমিলা। গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার পথে শহিদুলকে জমিলা নিয়ে নিয়ে যায় বলে কথিত রয়েছে।
এ ব্যাপারে জমিলার পিতা নুরুল হাকিম ও ছোট ভাই দোলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শহিদুলকে জমিলা চট্টগ্রামে নিয়ে গেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। জমিলা ও তার স্বামী শাহ আলম, জামাতা মেহেদী এবং
তাদের চার সন্তানের সঙ্গেও কোন ধরণের যোগাযোগ নেই।
জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল করিম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। সেই ডায়রির সূত্র ধরে দেশের সমস্ত থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। শহিদুল জঙ্গিবাদে জড়িয় পড়েছে কিনা সেটাও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।